উত্তরদিনাজপুর

খুনের ১০ বছর পর শাস্তি পেল ৪ অভিযুক্ত, যাবতজীবন কারাদন্ড দিল ইসলামপুর ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্ট

খুনের ১০ বছর পর ৪ অভিযুক্তকে যাবতজীবন কারাদন্ড দিল ইসলামপুর ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্ট। জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৭মে দুপুর ৩টা নাগাদ এই চার হত্যাকারী জোরপূর্বক সুধীর সিনহার আম বাগান দখল করতে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সুধীর সিনহা ও সুধীর বাবুর দুই ভাইপো প্রসেনজিত সিনহা ও পবিত্র সিনহা মিলে তাদেরকে বাধা দেয়। সে সময় অভিযুক্তরা তরোয়াল, হাসুয়া দিয়ে সুধীর বাবুর মাথায় কোপ মারে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরেন তিনি। অভিযুক্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর জখম হয় প্রসেনজিত ও পবিত্র। এরপর তাদের প্রত্যেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সুধীর বাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে রায়গঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। ২০০৬ সালের ২৭মে এই ঘটনার পরের দিন ২৮মে মৃত্যু হয় সুধীর বাবুর।

       জানা গেছে, করনদিঘি থানার কাচনা গ্রামের বাসিন্দা নিশিকান্ত সিনহা পেশায় আইনজীবী তার মেয়ে অমলা সিনহার সাথে বিয়ে হয়েছিল সুধীর বাবুর।সুধীর বাবুর মৃত্যুর দিন করনদিঘি থানায় আইনজীবী নিশিকান্ত সিনহা তার জামাইয়ের খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে করনদিঘি থানার তদন্তকারী অফিসার আব্দুল মালেক ২০০৬ সালের ৩০মে ওই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে। কিন্তু ৩ মাস ইসলামপুর সংশোধনাগারে থাকার পর জামিন পায় অভিযুক্তরা। ওই মামলায় অভিযোগকারী আইনজীবী নিশিকান্ত সিনহার মৃত্যু হলে পুনরায় এই মামলার সুনানি হয় ২০১৭ সালের ১৭মে বুধবার। মামলা চলাকালীন ১৫ জনের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। ইসলামপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী জামালউদ্দিন বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক অরুন রায় করণদিঘি থানায় ২০০৬ সালের খুনের মামলায় অভিযুক্ত কদম ওরফে কমল সিংহ, বুধু সিংহ, ঝটকু সিংহ ও গুনু সিংহদের যাবতজীবন কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করে।